নবান্ন স্কলারশিপ ২০২৩ (Nabanna Scholarship 2023) বা উত্তরকন্যা স্কলারশিপ ২০২৩ (Uttarkanya Scholarship 2023) – আবেদনের যোগ্যতা, স্কলারশিপের পরিমান, আবেদনের শেষ তারিখ, আবেদন পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইত্যাদি বিষয়ে লেখা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল প্রতি বছর উচ্চ-মাধ্যমিক বা তার পরবর্তী স্তরে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে দক্ষিনবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের নবান্ন স্কলারশিপ প্রদান করে। এই স্কলারশিপ উত্তরবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের কাছে উত্তরকন্যা স্কলারশিপ নামে পরিচিত।
এটি তিনটি স্তরে বিভক্ত –
- উচ্চ-মাধ্যমিক স্তর (H.S. Level)
- স্নাতক স্তর (U.G. Level)
- স্নাতকোত্তর স্তর (P.G. Level)
Table of Contents
নবান্ন স্কলারশিপ ২০২৩ – আবেদনের যোগ্যতা
- ছাত্রছাত্রীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- রাজ্যের শিক্ষা বোর্ড বা সংসদ বা সাহায্যপ্রাপ্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত কলেজ থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাক্রমে উচ্চ-মাধ্যমিক বা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি হতে হবে।
- ন্যূনতম নম্বর
স্তর | ন্যূনতম নম্বর |
উচ্চ-মাধ্যমিক স্তর | মাধ্যমিকে কমপক্ষে ৫০% কিন্তু ৬০% এর কম |
স্নাতক স্তর | উচ্চ-মাধ্যমিকে কমপক্ষে ৫০% কিন্তু ৬০% এর কম |
স্নাতকোত্তর স্তর | স্নাতক স্তরে (H) কমপক্ষে ৫০% কিন্তু ৫৩% এর কম |
- সর্বোচ্চ আয় – পারিবারিক আয় ১,২০,০০০ টাকার বেশি যেন না হয়।
- রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের অন্য কোনো স্কলারশিপ বা ভাতা পেলেও এই স্কলারশিপে আবেদন করা যাবে না।
নবান্ন স্কলারশিপের পরিমান
প্রতি বছর ১০,০০০ টাকা। তবে তা কোর্সের উপর নির্ভরশীল।
নবান্ন স্কলারশিপ বা উত্তরকন্যা স্কলারশিপ ২০২৩ আবেদনের শেষ তারিখ
Chief Minister’s Relief Fund – নবান্ন স্কলারশিপ ২০২৩ বা উত্তরকন্যা স্কলারশিপ ২০২৩ এর আবেদনের নির্দিষ্ট কোনো শেষ তারিখ নেই। কোর্সে ভর্তির পরেই সাধারণত আবেদন করতে হয়। তবে ৩১ শে ডিসেম্বর ২০২৩ এর মধ্যে আবেদন পত্র পাঠানো উচিত।
নবান্ন স্কলারশিপ বা উত্তরকন্যা স্কলারশিপ ২০২৩ আবেদন পদ্ধতি
২০২২ সাল পর্যন্ত এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হত অফলাইনে। এর জন্য সাধারণ A4 সাইজের পেপারে একটি আবেদন লিখতে হত এবং আবেদন পত্র সহ কাগজ পত্রগুলি পোষ্টের মাধ্যমে বা নিজে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হত।
কিন্তু ২০২৩ সাল থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় অনলাইনে। আবেদন করার জন্য চালু হয়েছে নতুন পোর্টাল (Chief Minister’s Relief Fund) ।
অনলাইন আবেদন করার সময় নিম্নলিখিত তথ্যগুলি হাতের কাছে রাখতে হবে।
- ছাত্র / ছাত্রীর নাম ( মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড অনুযায়ী )
- অভিভাবকের নাম
- বয়স
- মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার রোল নম্বর এবং বছর
- পিন কোড নম্বরসহ সম্পূর্ণ ঠিকানা
- মোবাইল নম্বর এবং আবেদন করার সময় মোবাইলটি হাতের কাছে রাখতে হবে
- ই-মেইল আইডি (ঐচ্ছিক)
- ছাত্র / ছাত্রীর নিজস্ব চালু সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সমূহ : (অ্যাকাউন্ট নম্বর, IFS কোড, ব্যাঙ্কের নাম এবং শাখা)
আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি
আবেদন করার আগে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলি pdf ফরম্যাটে স্ক্যান করে রাখতে হবে। প্রতিটি ৫০০ KB এর নিচে হবে।
- ছাত্র-ছাত্রীর পারিবারিক আর্থিক দূরবস্থা ও বর্তমানে কী পড়ছে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদনপত্র। আবেদনপত্রটিতে আবেদনকারীর স্বাক্ষর থাকবে। ( সম্পূর্ণ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর থাকা আবশ্যিক এবং ই-মেইল আইডি থাকলে উল্লেখ করতে হবে )।
- মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নির্বাচিত স্থানীয় জনপ্রিতিনিধির ( সাংসদ (MLA) / বিধায়ক (MP) ) সুপারিশপত্র৷ (ছাত্রছাত্রীর পারিবারিক আয় লেখা থাকবে)।
- যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের ( পূর্ণমন্ত্রী / প্রতিমন্ত্রী / জেলাশাসক / মহকুমাশাসক / বি ডি ও / যুগ্ম বি ডি ও / মিউনিসিপ্যালিটির ক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ অফিসার / মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনার অথবা কোনো উর্ধতন অফিসার) নিকট থেকে বার্ষিক / মাসিক পারিবারিক আয়ের শংসাপত্র।
- ছাত্র / ছাত্রীকে একই পড়াশুনার ক্ষেত্রে কোনো সরকারী / বেসরকারী সাহায্য পেয়েছে কিনা ও বর্তমানে কোথায় কী পড়াশুনা করছে জানিয়ে একটি স্ব-ঘোষণাপত্র ( Self declaration )। এই ঘোষনা পত্রে countersign করবেন বর্তমান স্কুল / কলেজ / বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান।
- মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড
- যোগ্যতা নির্ধারণকারী পরীক্ষার (qualification examination) অর্থাৎ শেষ উত্তীর্ণ হওয়া পরীক্ষার মার্কশিট। উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরে আর্থিক সহায়তার জন্য যোগ্যতা নির্ধারণকারী পরীক্ষা হল মাধ্যমিক বা সমতুল্য; স্নাতক স্তরে আর্থিক সহায়তার জন্য যোগ্যতা নির্ধারণকারী পরীক্ষা হল উচ্চ-মাধ্যমিক বা সমতুল্য এবং স্নাতকোত্তর স্তরে আর্থিক সহায়তার জন্য যোগ্যতা নির্ধারণকারী পরীক্ষা হল স্নাতক।
- ডাক্তারী / ইঞ্জিয়ানিয়ারিং / আইন / নার্সিং / ফার্মেসি / ডিপ্লোমা ইঞ্জিয়ানিয়ারিং প্রভৃতি পেশাদারী শিক্ষার (professional course) ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষার র্যাঙ্ক কার্ড (Rank Card)।
- উপরোক্ত পেশাদারী শিক্ষার (professional course) ক্ষেত্রে ভর্তির অ্যালটমেন্ট লেটার (Allotment Letter)।
- ছাত্র-ছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাস বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠা যেখানে A/c No., IFSC No. এবং A/c holder -এর নাম স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
- বর্তমান শিক্ষাবর্ষের / সেমিস্টারের ভর্তির রসিদ।
নবান্ন স্কলারশিপ বা উত্তরকন্যা স্কলারশিপ বা Chief Minister’s Relief Fund স্কলারশিপ ফর্ম , MLA / MP Recommendation এবং Self declaration ডাউনলোড (pdf)
নতুন আবেদন পদ্ধতি
এই স্কলারশিপের আবেদন করার আগে উপরে দেওয়া তথ্য এবং নথিগুলি হাতের কাছে রাখতে হবে। আবেদনের জন্য প্রথমে Chief Minister’s Relief Fund এর ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। নতুন আবেদনের জন্য প্রথমে Signup করতে হবে। পরে রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে Login করে আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে হবে।
এক নজরে নবান্ন স্কলারশিপ বা উত্তরকন্যা স্কলারশিপ
স্কলারশিপের নাম | নবান্ন স্কলারশিপ বা উত্তরকন্যা স্কলারশিপ |
প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ | পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
সুবিধাভোগী | পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ-মাধ্যমিক বা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রছাত্রী |
উদ্দেশ্য | ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া |
স্কলারশিপের পরিমান | প্রতি বছর ১০,০০০ টাকা |
আবেদনের শেষ তারিখ | কোনো শেষ তারিখ নেই |
আরও পড়ুন –
আরও আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গী হও
Kothai জমা দিতে হবে
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানাতে
আমি প্রথম বর্ষে উত্তরকন্যার টাকা পেয়েছি কিন্তু আমি এখন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, তবে আমি কি আবার এপ্লাই করতে পারব?
স্নাতক স্তরে দ্বিতীয় বর্ষে কি নতুন করে এই স্কলারশিপ করা যাবে??