ই-শ্রম পোর্টাল (e-Shram Portal) : ই-শ্রম কার্ড (e-Shram Card) বা UAN কার্ড (UAN Card) এর আবেদন যোগ্যতা, সুবিধা, আবেদন পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় নথি।
ই-শ্রম পোর্টাল (e-Shram Portal) হল দেশের অসংগঠিত শ্রমিকদের (Unorganized Workers) জাতীয় পর্যায়ের ডেটাবেস (National Database of Unorganized Workers – NDUW) তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক (Ministry of Labour & Employment) এর বিশেষ ভাবে তৈরি করা পোর্টাল।
NDUW আধার নম্বরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবে। এতে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে ভালো উপলব্ধির জন্য নাম, পেশা, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতার ধরণ এবং পারিবারিক বিবরণ ইত্যাদির বিবরণ থাকবে এবং তাদের কাছে সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের সুবিধাগুলি প্রসারিত হবে। এটি অভিবাসী শ্রমিক (Migrant Workers), নির্মাণ শ্রমিক (Construction Workers), গিগ (Gig) এবং প্ল্যাটফর্ম কর্মী (Platform Workers) সহ অসংগঠিত শ্রমিকদের প্রথম জাতীয় ডাটাবেস।
এই পোর্টালে ই-শ্রম কার্ড (e-Shram Card) করার জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। প্রায় ৩৮ কোটি শ্রমিককে রেজিস্ট্রেশনের পর নানা সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা যাবে।
Table of Contents
১) ই-শ্রম পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করা শ্রমিকরা প্রধান মন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনার (Pradhan Mantri Suraksha Bima Yojana – PMSBY) আওতায় ২ লক্ষ টাকার বীমার সুবিধা পাবে। কোনও শ্রমিক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তাতে তাঁর মৃত্যু হলে অথবা সম্পূর্ণ অক্ষম হয়ে গেলে ২ লক্ষ টাকা বীমা হিসাবে দেওয়া হবে। আর দুর্ঘটনায় যদি আংশিক অক্ষমতা আসে, সেক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা বীমা হিসাবে দেওয়া হবে।
২) ভবিষ্যতে অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের সুবিধাগুলি ই-শ্রম পোর্টালের সাহায্যে দেওয়া হবে।
৩) জরুরি অবস্থায় ও দেশব্যাপী অতিমারীর মত পরিস্থিতিতে যোগ্য অসংগঠিত শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছানোর জন্য এই পোর্টালের ডেটাবেস ব্যবহার করা হবে।
বি.দ্র.- যদি আধার নম্বরের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিংক না করা থাকে বা লিংক করা নম্বরটি বর্তমানে না থাকে তবে নিকটবর্তী CSC থেকে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে।
এই পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন সম্পুর্ণ বিনামূল্যে করা যায়। এই জন্য কোনোরকম ফি দিতে হয় না। নাম নথিভুক্ত করলেই শ্রমিকের নাম প্রধান মন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনার আওতায় চলে আসবে। তাই প্রতি বছর ১২ টাকা করে প্রিমিয়াম ব্যাঙ্ক থেকে কাটবে। তবে প্রথম বছরের প্রিমিয়াম সরকার দেবে, তাই প্রথম বছর কোনো টাকা দিতে হবে না।
১) ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন নিজে বা CSC এর মাধ্যমে করা যায়। রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রথমে ই-শ্রম পোর্টাল এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২) রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রথমে আধার নম্বর অথেন্টিকেশন করতে হবে। নিজে রেজিস্ট্রেশন করলে আধার নম্বরের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বরে আসা OTP র মাধ্যমে অথবা CSC থেকে করলে OTP / IRIS / আঙুলের ছাপ এর মাধ্যমে e-KYC করতে হবে।
৩) আধার কার্ডে থাকা তথ্য আপনাআপনি দেখা যাবে। তারপর ব্যক্তিগত তথ্য (ই-মেল, বাবার নাম, নোমিনির বিবরণ, ইত্যাদি), ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের তথ্য পূরণ করে করে সাবমিট করলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ একটি UAN কার্ড বা ই-শ্রম কার্ড তৈরি হয়ে যাবে।
এই কার্ডে দেওয়া ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (UAN) শ্রমিকদের সারা জীবনের জন্য বৈধ। তাই কার্ডটি সারা জীবন ভ্যালিড থাকবে।
শ্রমিকদের এই কার্ড রিনিউয়্যাল করার দরকার নেই। তবে অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট রাখার জন্য অন্ততপক্ষে বছরে একবার কিছু কিছু তথ্য, যেমন – মোবাইল নম্বর, বর্তমান ঠিকানা, পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি আপডেট করতে হবে।
জাতীয় হেল্প ডেস্ক নম্বর – ১৪৪৩৪. এছাড়াও ১০ সংখ্যার নম্বর যা CSC থেকে পাওয়া যাবে।
সময় – সোমবার থেকে শনিবার সকাল ৮ টা থেকে রাত্রি ৮ পর্যন্ত
ভাষা – বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, কন্নড়, মালায়ালম, মারাঠী, ওড়িয়া, তেলেগু এবং আসামী
অভিযোগ – www.gms.eshram.gov.in
স্কিমের নাম | ই-শ্রম কার্ড |
প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ | কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক, ভারত সরকার |
উদ্বোধনের তারিখ | ২৬-০৮-২০২১ |
সুবিধাভোগী | ভারতীয় অসংগঠিত শ্রমিক |
সুবিধা | ২ লক্ষ টাকা বীমা |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | www.eshram.gov.in |
আরও পড়ুনঃ
West Bengal Livelihood and Social Security Interim Scheme, 2025 SSC 2016 এর মাধ্যমে বিদ্যালয়ে নিযুক্ত…
উচ্চ মাধ্যমিক সেমিস্টার পদ্ধতি : পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (West Bengal Council of Higher…
জমির শেয়ার হিসাব BANGLARBHUMI Share Calculation, Land Share Calculator BANGLARBHUMI Land Share Calculator Land Share…
High School Holiday List 2024 in West Bengal উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা ২০২৪ (Holiday…
সহানুভূতি স্কলারশিপ (Sahanubhuti Scholarship) হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা বিভাগের (Mass Education…
রাজ্য শিক্ষানীতি : 2035 সালের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল বদল ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে…