মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড (Matsyajeebi Credit Card) ২০২২, মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা, বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ, আবেদন পদ্ধতি, আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড (Matsyajeebi Credit Card) হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্যদপ্তরের উদ্যোগে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক মৎস্যচাষীদের আর্থিক সুবিধা প্রদানের জন্য একটি ঋণ প্রকল্প।
প্রত্যেক আর্থিক বছরে মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ প্রদানের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এই প্রকল্পে মৎস্যজীবী ও মৎস্যচাষীগণ একবার ঋণের সুবিধা গ্রহণ করলে পুনরায় আবেদন না করেও ৫ বৎসর পর্যন্ত এই ঋণের সুবিধা পেতে পারবেন।
Table of Contents
একবার ঋণ মঞ্জুর হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত ঋণ নেওয়া / পরিশোধ করার ব্যবস্থা।
জলাশয়ের মালিক বা লীজ গ্রহীতা এমনকি মৎস্যজীবীরাও নিজ ক্ষেত্রে ঋণ পাবেন।
প্রয়োজনীয় ঋণের টাকা কয়েক বারেও তোলা যাবে।
চাষের জন্য সঠিক / প্রয়োজনীয় সময়ে যাতে ঋণ পেতে পারেন – তার জন্যই এই প্রকল্প।
মৎস্যচাষী অথবা মৎস্য উৎপাদক গোষ্ঠী অথবা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি এমনকি স্বনর্ভির গোষ্ঠী এই ঋণের সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন।
এই প্রকল্পের চাষ উপকরণ ইত্যাদি বাবদ সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুবিধা।
ক্রমিক সংখ্যা | প্রকল্পের নাম | জলকর | প্রকল্প ব্যয় / ব্যাঙ্ক ঋণ |
১ | দেশী মাগুর মাছ চাষ | ১ বিঘা (৩৩ শতক) | ৯৭,২৯৩ টাকা |
২ | বড়মাছ চাষ | ১ বিঘা (৩৩ শতক) | ১,৭৩,৩১০ টাকা |
৩ | চারা পোনা চাষ | ১ বিঘা (৩৩ শতক) | ৫৯,২৮৭ টাকা |
৪ | মিঠা জলে মিশ্র মাছ চাষ | ১ বিঘা (৩৩ শতক) | ৭২,২৪৮ টাকা |
৫ | তেলাপিয়া মাছ চাষ | ১ বিঘা (৩৩ শতক) | ৮২,৭৮৭ টাকা |
৬ | পাঙ্গাস মাছ চাষ | ১ বিঘা (৩৩ শতক) | ৩৩,৮০০ টাকা |
৭ | ভিয়েতনাম কই মাছ চাষ | ১ বিঘা (৩৩ শতক) | ৪৪,৪৯৫ টাকা |
৮ | বাই-সাইকেলে মাছ বিক্রি (তাপ নিরোধক বাক্সসহ) | ** | ১৯,৫০০ টাকা |
৯ | ট্রাই-সাইকেলে মাছ বিক্রি (তাপ নিরোধক বাক্সসহ) | ** | ৩২,৫০০ টাকা |
১০ | বায়োফ্রক পদ্ধতিতে কই মাছ চাষ | ** | ৪২,০৬৮ টাকা |
১১ | বায়োফ্রক পদ্ধতিতে মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ চাষ | ** | ৪৬,৬১৮ টাকা |
১২ | বায়োফ্রক পদ্ধতিতে সিঙ্গি মাছ চাষ | ** | ৪৯,৪৭৮ টাকা |
১৩ | বায়োফ্রক পদ্ধতিতে পাবদা মাছ চাষ | ** | ৫৯,২৯৩ টাকা |
ব্লক অফিসে মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিকের (F.E.O) অফিসে নির্ধারিত আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। ঐ আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দিতে হবে।
ঋণ যে প্রকল্পের জন্য নেওয়া হবে তার মেয়াদ শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করলে ২% কমে ৫% সুদ নেবে ব্যাঙ্ক।
অন্যথায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ক্ষেত্রে সুদের হার বেশি হবে এবং পরের ফসলের জন্য পুনরায় ঋণ পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
সময়ে ঋণ পরিশোধ করলে পরবর্তী চাষের প্রাক্কালে পুনরায় ঋণ নেওয়া যাবে – কোন নতুন আবেদন ছাড়াই। এভাবে পাঁচ বছর পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকবে।
বিশদ বিবরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
উচ্চ মাধ্যমিক সেমিস্টার পদ্ধতি : পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (West Bengal Council of Higher…
জমির শেয়ার হিসাব BANGLARBHUMI Share Calculation, Land Share Calculator BANGLARBHUMI Land Share Calculator Land Share…
High School Holiday List 2024 in West Bengal উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা ২০২৪ (Holiday…
সহানুভূতি স্কলারশিপ (Sahanubhuti Scholarship) হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা বিভাগের (Mass Education…
রাজ্য শিক্ষানীতি : 2035 সালের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল বদল ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে…
OBC প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ (OBC Pre-Matric Scholarship) হল পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির (V-X) OBC ছাত্র-ছাত্রীদের…