প্রাণীপালনে কিষান ক্রেডিট কার্ড (KCC-AH in Bengali)

প্রাণীপালনে কিষান ক্রেডিট কার্ড (KCC-AH) উদ্দেশ্য, ঋণের পরিমাণ, যোগ্যতা, সুদের হার, আবেদন পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার বর্তমানে কৃষিকাজের সাথে প্রাণীপালনের জন্য কিষান ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে স্বল্প সুদে আর্থিক সাহায্য বা লোন প্রদান করে।

এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগের একটি স্কিম।

প্রকল্পটির উদ্দেশ্য

প্রাণীপালকরা গাভীপালন, মুরগীর ফার্ম, ছাগ ও শূকর পালনে নিত্যনৈমিত্তিক / দৈনন্দিন খরচ (Working Capital) যেমন – খাবার খরচ, বীমা, লেবার (শ্রম), চিকিৎসা ও টীকা এবং বিদ্যুৎ ইত্যাদি বাবদ খরচের জন্য ঋণ দেওয়া।

কারা এই প্রকল্পে ঋণ পেতে পারেন

যেকোনো প্রাণীপালক (যাদের ব্যাঙ্কে অনাদায়ী ঋণ নেই), দুধ সমিতির সদস্যরা এবং কৃষিকাজের জন্য যারা ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন প্রাণীপালকরাও এই প্রকল্পের ঋণ পেতে পারেন।

প্রাণীপালনে কিষান ক্রেডিট কার্ড সুদের হার

সাধারণত ৭% (সাত শতাংশ)। তবে একটি উৎপাদন চক্রের মধ্যে। সঠিক সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করলে আরও ৩% (তিন শতাংশ) ভর্তুকী পাওয়া যায়।

প্রাণীপালনে কিষান ক্রেডিট কার্ড ঋণের পরিমাণ

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে নিম্নলিখিত হারে ঋণ পেতে পারেন –

ক) দুটি গাভী (সংকর / উন্নত) থাকলে পালন বাবদ ৬৭,০০০/- টাকা।

খ) ১,০০০ পাখির পোল্টী (ব্রয়লার) ফার্ম থাকলে চালানোর খরচ বাবদ ১,৭৫,০০০/- টাকা।

গ) ১০ টি ছাগল থাকলে পালন বাবদ ২০,০০০/- টাকা।

ঘ) ৪ টি শুকর (সম্ভ/ ঘুঙ) থাকলে পালন বাবদ ৪১,৬৮০/- টাকা।

মনে রাখতে হবে, এই খাতে ঋণ কেবলমাত্র প্রাণীপালনের দৈনন্দিন, খরচ চালানোর জন্য – প্রাণী কেনার জন্য নয়।

আবেদন পদ্ধতি

সরকারের পক্ষ থেকে যে দুয়ারে সরকার শিবির হয় সেই শিবিরে যোগাযোগ করতে হবে। আবেদনপত্র শিবির থেকে সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে।

আবেদনপত্রের সঙ্গে নিম্মলিখিত নথি জমা করতে হবেঃ

  • ১) আবেদনকারীর পাসপোর্ট ছবি – ২ কপি;
  • ২) আধার কার্ডের জেরক্স
  • ৩) ভোটার কার্ডের জেরক্স
  • ৪) ব্যাঙ্কের পসবইয়ের জেরক্স
  • ৫) জমির তথ্য (নিজ / লিজ নেওয়া);
  • ৬) জমির পরচার জেরক্স
  • ৭) মোবাইল নম্বর
  • ৮) অন্যান্য

প্রত্যেকটি নথি স্ব-প্রত্যয়িত (Self-Attested) হতে হবে।  

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *